ঈদযাত্রা ট্রাক-পিকআপে, মানবিক কারণে ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ

আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরছেন সাধারণ মানুষ। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঝুঁকি নিয়েই ট্রাক-পিকআপে করে বাড়ি ফিরছেন তারা।
এমন যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানবিক কারণে ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ-এমনটাই দাবি চালকদের।
বুধবার (৪ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, সড়কের পাশে সারি করে দাঁড়ানো ট্রাক-পিকআপে যাত্রী তুলছেন চালকরা। কম ভাড়ার কারণে ঝুঁকি উপেক্ষা করে অনেকেই নির্দ্বিধায় এসব পিকআপে উঠছেন।
পিকআপে করে বগুড়া যাচ্ছিলেন পোশাক শ্রমিক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাইনি। দু-একটি বাস পেলেও তাতে সিট ছিল না। বাধ্য হয়েই পিকআপে উঠেছি। ঝুঁকি তো আছেই, কিন্তু বাড়িতেও তো যেতে হবে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারলে ঈদের আনন্দই বৃথা।
ঈসমাইল নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমরা নিম্নআয়ের মানুষ। যাতায়াতে যদি হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়, তাহলে ছেলেমেয়েদের জামাকাপড় কিনে দেব কীভাবে? তাই যতটা সম্ভব খরচ বাঁচিয়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছি। বর্ষার দিন হলেও বাধ্য হয়েই পিকআপে যাচ্ছি। জানি এতে ঝুঁকি আছে, কিন্তু কিছু করার নেই। দুই টাকা বাঁচলে পরিবারকে ভালো কিছু খাওয়াতে পারব।
পিকআপচালক বেলাল হোসেন বলেন, আমরা বাইপাইল থেকে যাত্রী তুলে সিরাজগঞ্জ, সর্বোচ্চ বগুড়া পর্যন্ত যাই। জনপ্রতি মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা নেই। বাসে গেলে তাদের দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হতো। তাই যাত্রীরা বুঝেশুনেই পিকআপে উঠছে। আমরা চেষ্টা করছি কম টাকায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে। আমরা না থাকলে এই লোকেরা বাড়ি ফিরবে কীভাবে?
আরেক চালক সুজন বলেন, আমরা কাউকে জোর করে পিকআপে তুলছি না। অনেকেই স্বেচ্ছায় পিকআপে উঠছে। পুলিশের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় পুলিশ পিকআপ থামায়, তবে মানবিক কারণে পরে ছেড়ে দেয়। সড়কে কোনো সমস্যা হয় না, সমস্যা হলে তো যাত্রীরা পিকআপে উঠতো না।
এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, সড়কে যেন যানজট না হয়, সে বিষয়েই আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে ট্রাক-পিকআপে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি চোখে পড়লে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SN