এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে মাস্ক বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা

সারা দেশের মতো বাগেরহাটেও শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৪১টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ১২ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৮ হাজার ৭৭০ জন, কারিগরি শিক্ষায় ২ হাজার ৬৩৫ জন এবং আলিম বিভাগে ১ হাজার ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা মাথায় রেখে প্রতিটি কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেন্দ্রে রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে লিখিত স্বাস্থ্য নির্দেশনা। পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে গঠিত হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের ভিজিল্যান্স টিম, যারা কেন্দ্র পরিদর্শনে নিয়োজিত আছেন।
পরীক্ষার্থী মতিয়ার রহমান বলেন, ভয় তো একটু আছে, তবে প্রস্তুতিও ভালো নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।
অন্যদিকে, ফারজানা আক্তার জানান, এইচএসসি শুধু একটা পরীক্ষা নয়, এটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা’র স্বপ্ন, নিজের স্বপ্ন সব মিলিয়ে আজকের দিনটা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহর কাছে দোয়া চাই যেন ভালো করতে পারি।
পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করতে দেখা গেছে বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলকে। খানজাহান আলী কলেজ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ছাত্রদের পাশাপাশি অভিভাবকদের হাতেও মাস্ক বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপি সভাপতি শাহেদ আলী রবি, গ্লোবাল এডুকেশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মোঃ মানফুজুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ—আতিকুর রহমান রাসেল, ইমরান মির্জা, মিরাজ হোসেন, আদনান আরিয়ান, বেলাল, সিহাব, জীম, আয়শা, রিফাত, তনুসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষক মহলে সন্তোষ বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।##