জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে‘তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ, শীর্ষক আলোচনা সভা।উত্তাল

বাগেরহাট জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ‘তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ মে, বিকাল ০৩ ঘটিকায় বাগেরহাট জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজ, দশানী, বাগেরহাটের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মুঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার এস, এম, ছায়েদুর রহমান, উপপরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মোঃ আব্দুল কাদের, অধ্যক্ষ যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজ ঝিমি মন্ডল ও বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য অফিসার সাহা চন্দ্র শেখর, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাঃ সাদেকুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী তথ্য অফিসার জনাব বিশ্বজিৎ শিকদার।
প্রধান অতিথি বলেন, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, অসীম সাহসিকতা, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ আর দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান। এই গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক ছিল আমাদের তরুণ সমাজ। তরুণদের চতুর্থ শিল্প বিল্পবের সাথে উপযোগী এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর গুণাবলী, ব্যবহার সম্পর্কে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তরুণদের শিক্ষার সাথে সাথে কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। একটি দেশের তরুণ প্রজন্মের ওপর সে দেশের ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করে। কারণ তারাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাদের হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাবে। তাদের সৃজনশীল চিন্তাধারা এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে। তরুণদের মধ্যে আছে অজেয়কে জয় করার প্রত্যাশা। তারা স্বপ্ন দেখবে, স্বপ্ন দেখাবে, স্বপ্নের সমান হবে আর স্বপ্নকে অতিক্রম করে গড়ে তুলবে বাংলাদেশকে। যুব তরুণরা যেটা করতে পারবে আমরা সেটা করতে পারবো না। কারণ তাদের চিন্তা আমাদের চিন্তা এক নয়। আবার এর পরের জেনারেশন আরো এগিয়ে যাবে। তরুণদের পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনে অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে তরুণদের সবমসময় পজিটিভ বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। নেগেটিভ বিষয় নিয়ে ভাবলে সবকিছু থেকে পিছিয়ে পড়তে হবে। তোমাদের ভবিষ্যৎ কিভাবে সুনিশ্চিত করা যায়, উজ্জল করা যায় সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ তরুণ এবং যুব। আমাদের তরুন সমাজকে দক্ষ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তরুণদের কাজে লাগিয়ে এর সুফল পেতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বায়নের যুগে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তরুণরাই আগামীর দিনের উন্নত ও সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। দূর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সকল ক্ষেত্রে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তরুণদের হাত ধরেই জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রে যেন বৈষম্য ও স্বৈরশাসন তৈরি না হয় সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। তরুণদের সকল ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের পাশাপাশি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক তরুণ-তরুণী এবং শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।