নির্বাচনের আগে হত্যাকান্ডের বিচার চান শহিদ পরিবারের সদস্যরা

জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে জুলাই আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যরাও এসেছেন। তারা সমাবেশ থেকে নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিও জানিয়েছেন।
শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশে জুলাই শহিদদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য বক্তব্যে এই দাবি জানান।”
সমাবেশে বক্তব্য দেন রংপুরের শহিদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। তিনি বলেন, ১৬ জুলাই যখন আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে পুলিশের সামনে জীবন দিয়েছিল, যে কারণে জীবন দিয়েছিল, সেই কারণের বাস্তবতা কি আমরা আজ পেয়েছি? যদি সেই শহিদ ভাইয়ের বাস্তবতা আমরা না পাই তবে এই বাস্তবতা আমরা ফেরত চাই। না হলে আমরা আমাদের শহিদ ভাইদের ফেরত চাই। চব্বিশের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান শহিদ ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে আজকের বাংলাদেশ পেয়েছি।
রমজান আলী বলেন, আমরা গত ১৭ বছর কি এমন সমাবেশ করতে পেরেছি? যদি না পেরে থাকি তবে আমাদের ভাইয়ের অধিকার, সেই অধিকার আমরা ফেরত চাই। যদি ফিরিয়ে না পাই, তাহলে আমাদের ভাইদের ফিরিয়ে দেন।
আবু সাঈদের ভাই বলেন, আজ দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু এই বাংলার মাটিতে আমরা একজন শহিদ ভাইয়ের হত্যার বিচারও পাইনি। আমাদের শহিদ ভাইদের হত্যার বিচারের দরকার আছে কি নাই? আমি মনে করি, নির্বাচনের আগে এই শহিদ ভাইদের হত্যার বিচারের রায় প্রয়োজন। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদীরা ঘাঁপটি মেরে আছে, তারা পাঁয়তারা করছে। ফ্যাসিবাদী দোসরদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের গ্রেফতার করতে হবে। বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় আরেক শহিদ পরিবারের এক সদস্যও জুলাই হত্যার বিচার এবং শিগগিরই জুলাই সনদ ঘোষণার দাবি জানান।”
বুয়েটে ছাত্রলীগের নৃশংস নির্যাতনে শহিদ আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উলাহ জানান, এখনো তিনি তার ছেলের হত্যার বিচার পাননি। তিনি বলেন, ৬ বছর হয়ে গেছে। ছেলে হত্যার বিচার এখনো পাইনি। আমি চাই, দ্রুত যেন আমার ছেলে হত্যার বিচার করা হয়।
আবরার ফাহাদের বাবা বলেন, দেশের পক্ষে কথা বলার জন্য নির্মমভাবে নির্যাতন করে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। সেই বিচার এখনো হয়নি।”
এর আগে সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর দুইটায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। তবে সমাবেশের কার্যক্রম সকাল থেকেই চলছে। সারাদেশে থেকে লাখ লাখ নেতা-কর্মী এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।#smk