পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।বাগেরহাটে সাংবাদিক হত্যা মামলার ২ জন গ্রেপ্তার

চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক এএসএম হায়াত উদ্দিন হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিমের সফল অভিযানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই মূল আসামিকে রাজধানীর আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে। বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান এর সার্বিক দিক নির্দেশনায়,বাগেরহাটে সাংবাদিক ও বিএনপি নেতা হায়াত উদ্দিন হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এই অভিযানে জেলা ডিবির পেশাদারিত্ব,দক্ষতা ও দ্রুত তদন্তমূলক পদক্ষেপ এর মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা বাসির মাঝে পুলিশের প্রতি নুতন আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যার সাথে জড়িত মর্মে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। বাগেরহাটের আমলি আদালত-১ এর বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হারুণ অর রশীদ আসামীদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এর আগে রোববার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আশুলিয়া এলাকার গোল্ডেন সিটি আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ১১৮ নম্বর কক্ষ থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এই আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।
সোমবার রাত ১০টা ৮ মিনিটে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শামীম হোসেন এ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছেন। নিরাপত্তা জনিত কারণে বিষয়টি পরে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার গোপালকাঠি এলাকার মোঃ শহিদুল হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ ওমর ফারুক ওরফে ইমন হাওলাদার (২৫) এবং একই এলাকার মো: আব্দুল হাইর ছেলে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ওরফে আশিক (২৫)। গ্রেপ্তারকৃতরা এজাহার নামিও আসামীদের মধ্যে এটার নাম না থাকলেও হত্যার সাথে জড়িত নিশ্চিত হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শামীম হোসেন বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা হত্যাকান্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালি এলাকায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক এসএম হায়াত উদ্দিন (৪০)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন একই এলাকার মোঃ ইসরাইল মোল্লা ও তার সহযোগিতারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেয়।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে হায়াত উদ্দিনের মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। শনিবার (০৪ অক্টোবর)রাতে হাড়িখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা ও একই এলাকায় নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এরও একদিন পরে রোববার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় মোঃ ইসরাইল মোল্লাকে প্রধানসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২জনকে আসামী করা হয়।বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মাহামুদ-উল হাসান জানায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে তিনি আরও জানান,
সাংবাদিক হত্যা মামলার সকল আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পেছনের সকল ষড়যন্ত্র উন্মোচন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে ।
smk