বাগেরহাটের চারটি আসন বহালের দাবিতে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক হরতাল। আজকের ডাকা এ হরতাল বাগেরহাট জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় সর্বাত্মক পালন করছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর আগে গত কাল রবিবার (৭সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই হরতালকর্মসূচির ঘোষনা দেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বুধবার (১০সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বাগেরহাট থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, বেনাপোল, ফরিদপুরসহ প্রায় ১৬ টি রুটের দূরপাল্লার সকল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া বাগেরহাট থেকে আন্তজেলা রুট খুলনা, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, পিরোজপুর, কচুয়া, চিতলমারী, রূপসা ও রায়েন্দার সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি জেলার ছোট বড় নদীর খেয়া ও সড়ক বিভাগের ফেরিও চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলা এখন পর্যন্ত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন।
৪৮ ঘন্টার ডাকা হরতালে সর্বদলীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীরা চারটি আসন বহালের দাবিতে খন্ড খন্ড মিছিল করেন। বিক্ষোভে সর্বদলীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা ছাড়াও জেলে, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, দিনমজুর সহ বাগেরহাটের সর্বস্তরের মানুষ সতস্ফুর্ত ভাবে অংশ নিয়েছে। এসময় বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কমিটির কো-কনভেনর এম এ সালাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা সেক্রেটারি ও কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলী, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম গোরা, খাদেম নেয়ামুল নাছির আলাপ, নাসির আহমেদ মালেক, শাহেদ আলী রবি, ফকির তারিকুল ইসলাম, সৈয়দ ওবায়দুল ইসলাম জুয়েল, জামায়াত নেতা মনজুরুল হক রাহাত, বাগেরহাট জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী সরদার, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রেজাউল কবির মিন্টু, পৌর যুবদলের আহবায়ক সরদার জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান আসাদসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। চারটি আসন বহল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটের নেতাকর্মীরা। পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।