বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন।
এরপর ঘিরে রাখেন নির্বাচন অফিসের প্রধান গেট। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, এম এ সালাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের বিষয়টি চিন্তা করে হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে আন্দোলন চলবে। আমরা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছি। দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাবো।
অবস্থান ধর্মঘটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, বিএনপি নেতা সরদার লিয়াকত আলী, জামায়াত নেতা মনজুরুল হক রাহাদসহ সর্বদলীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি খসড়া প্রস্তাবে বাগেরহাট জেলার চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি রাখার প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনগুলো নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ প্রহণ করেন। কিন্তু তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন রাখাসহ নিজেদের খসড়া প্রস্তাবে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়ে আসনের সীমানা নির্ধারন করে। ইসির এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে বাগেরহাটের রাজনৈতিক দলসহ আমজনতা লাগাতর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।