বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের হরতাল, যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল

বাগেরহাটের চারটি আসন বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিন চলছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাছের গুঁড়ি ফেলে ও বাস বেঁধে অবরোধ সৃষ্টি করেন হরতালের সমর্থনকারীরা। ৪৮ ঘন্টার ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে সর্বদলীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কমিটির কো-কনভেনর এম এ সালাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি ও কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলী, জেলা বিএনপি’র সদস্যসচিব শেখ মুজাফফর রহমান আলম, জামায়াত নেতা মনজুরুল হক রাহাত, সাবেক বাগেরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি সুজন মোল্লাসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবস্থান নিয়েছেন। এতে বাগেরহাট অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আন্তজেলা যোগাযোগ সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দড়াটানা সেতু, ফতেপুর বাজার ও সিএনবি বাজার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ফলে ব্যবসায়ী ও চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
হরতালের সমর্থনে জেলার বাজার ও দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানান।
এরআগের দিন বুধবার সকাল থেকেই হরতাল শুরু হয় এবং রাত পর্যন্ত সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখেন সমর্থনকারীরা। এতে রাতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাতে সড়ক বন্ধ থাকায় তাদের ভোগান্তি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামে বাগেরহাটবাসী। চার আসন বহালের দাবিতে তারা নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন। তবে ৪ সেপ্টেম্বর কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বাগেরহাটের মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে।