বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনের একটি কমানোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার কৃতি সন্তান, সাবেক সচিব ড. মো. ফরিদুল ইসলাম বাবলু। তিনি শুধু চারটি আসন বহাল রাখার দাবি জানাননি, বরং জেলার জনসংখ্যা, ঐতিহ্য ও ভৌগোলিক গুরুত্বের বিবেচনায় বাগেরহাটে ৫টি আসন করারও দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার নাগরিক সমাজ ও সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান। ড. ফরিদুল ইসলাম বলেন,
বাগেরহাটের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। চারটি আসন কমানো নয়, বরং জেলার স্বার্থ রক্ষায় আমাদের পাঁচটি আসন প্রয়োজন।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে রামপাল ও মোংলা উপজেলা নিয়ে গঠিত ৩ নম্বর আসনটি ভেঙে ২ ও ৪ নম্বর আসনের সঙ্গে যুক্ত করার খসড়া অনুমোদন করে। এই প্রস্তাবকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন ফরিদুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, আসন সংখ্যা কমানো বাগেরহাটবাসীর স্বার্থবিরোধী এবং অবিচারমূলক সিদ্ধান্ত।
এদিকে, জেলার সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি ইতিমধ্যেই ৪টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। গত ৩ জুলাই রবিবার বিকেল সাড়ে চারটায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ফিরোজ সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় সদস্য মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অহিদুজ্জামান দিপু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সাবেক সচিব ড. ফরিদুল ইসলাম, সাবেক সচিব মশিউর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসিম আলাপসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান উপদেষ্টার কাছেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বাগেরহাটের জনগণের দাবি, জেলা ও দেশের স্বার্থে আসন সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কমপক্ষে ৪টি আসন বহাল রাখা হোক এবং প্রয়োজনে তা বাড়িয়ে ৫টি করা হোক।