নওগাঁর রাণীনগরে বেড়েছে চুরির ঘটনা। বিশেষ করে কীটনাশকের দোকানে চুরির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে উপজেলার কীটনাশকের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানীরা রয়েছেন চুরির আতঙ্কে। কোন কোন স্থানে চোরেরা তাদের আলামত রেখে গেলেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশের তৎপড়তা নেই। এতে করে উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে দিন দিন উপজেলায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে মধ্যেই উপজেলার কোন না কোন স্থানে চুরির ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি উপজেলার গহেলাপুর বাজারে একজন কীটনাশক ব্যবসায়ীর দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহে উপজেলার হরিশপুর মৎস্যজীবী পাড়ার লোকমানের বাড়িতে রাতে কেউ না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপর গত শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতের কোন এক সময় উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে একজন বড় কীটনাশক ব্যবসায়ীর দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসের কোন একদিন উপজেলার রেলগেইট সংলগ্ন স্থান থেকে একটি গরুর খামার থেকে ৮টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ সেই ডাকাতির বিষয়ে কোন দৃশ্যমান তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। বিভিন্ন চুরির ঘটনায় জড়িতদের আটক করাসহ পুলিশের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না থাকার কারণে উপজেলাবাসীর মাঝে বর্তমানে চোর ও ডাকাতের আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

উপজেলার ত্রিমোহনী হাটের কীটনাশক ব্যবসায়ী ও ত্রিমোহনী বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একে এম শহিদুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারী) দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান তিনি। এরপর ওই দিন তিনি আর দোকান খোলেননি। পরের দিন শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে দোকান খুলে দেখেন দোকানের একটি ঘরের টিন কেটে প্রায় ৩লাখ টাকার কীটনাশক চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। শনিবার দুপুরে থানায় গিয়ে তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করে আসেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও শনিবার কোন পুলিশ সদস্য চুরি যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাই। পুলিশের তেমন তৎপড়তা না থাকায় ত্রিমোহনী হাটের আশেপাশের দোকানীদের মাঝে বর্তমানে চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। শহিদুল ইসলাম চুরির স্থান থেকে চোরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত পেয়েছেন। যে আলামতের মাধ্যমে পুলিশ চাইলেই সহজেই চোরের দলকে আটক করতে পারেন বলে মনে করছেন শহিদুল ইসলাম।  

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: তারিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ত্রিমোহনী বাজারে কীটনাশকের দোকানে চুরি হওয়ার বিষয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।