মাদক ব্যবসায় জড়িত হওয়ায় কন্যাকে ত্যাজ্য ঘোষণা পিতা-মাতার।দৈনিক উত্তাল

বাগেরহাটে এক হৃদয়বিদারক ও নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এক দম্পতি। চতুর্থ কন্যা আফরিন-হা-মিম (তমা) মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে ত্যাজ্য কন্যা হিসেবে ঘোষণা করেছেন তার পিতা-মাতা। এ সিদ্ধান্তকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে (২৪ জুলাই) নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামা সম্পাদন করা হয়।
হলফনামায় ১ নম্বর এ্যাফিডেভিটকারী হিসেবে রয়েছেন সরদার আতিয়ার রহমান (৬৮), পিতা মৃত জামাল উদ্দিন সরদার ও মাতা মৃত রিজিয়া বেগম। তাঁর সঙ্গে ২ নম্বর এ্যাফিডেভিটকারী হিসেবে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম (৫৮), পিতা আঃ নুর মোহাম্মদ শেখ ও মাতা জামিলা বেগম। তাঁরা বাগেরহাট সদর উপজেলার দড়াটানা রোড, বাসাবাটি এলাকায় বসবাস করেন।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, আফরিন-হা-মিম (তমা) ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই কাউকে কিছু না জানিয়ে মোঃ শামিম চৌধুরী নামক এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। সেই থেকে পরিবার কিংবা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। পরবর্তীতে স্বামীর প্ররোচনায় সে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পিতা-মাতার ভাষ্যমতে, কন্যার এমন কর্মকাণ্ডে তাঁরা সামাজিক ও পারিবারিকভাবে চরম বিব্রত এবং মানহানির শিকার হচ্ছেন। তাই তাঁরা একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে এবং নিজেদের পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে কন্যাকে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়, আফরিন-হা-মিম (তমা) ওয়ারিশ হিসেবেও পিতামাতার স্থাবর ও অস্থাবর কোনো সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবেন না এবং তার কোনো কৃতকর্ম বা অপকর্মের দায়ভার পিতা-মাতা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা বহন করবেন না।
এ হলফনামার সনদে আইনজীবী হিসেবে স্বাক্ষর করেন এ্যাডভোকেট অমিতাভ বড়াল। সনাক্তকারী সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রনি সরদার, আইরিন সুলতানা ও আসফিন সুলতানা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘটনাটিকে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে সামাজিকভাবে বেদনাদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন।##sL