
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাগেরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিয়া খাতুন। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক এক পরামর্শ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা, অ্যাক্টিভিস্টা বাগেরহাট ও রামপাল-এর যৌথ আয়োজনে এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল হাসান মিলন।
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও আতিয়া খাতুন বলেন, “সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা কেবল প্রশাসন বা কোনো প্রতিষ্ঠানের একার কাজ নয়। সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহনশীলতা ও সহযোগিতার পরিবেশ বজায় রাখা।” তিনি তরুণদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “তরুণরাই সমাজে সম্প্রীতির মূল বাহক। তারা ভেদাভেদ নয়, ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেবে — এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সুমিত ভট্টাচার্য, সামিয়া সুলতানা, অর্ণব মিস্ত্রি, নাসরিন আক্তার জয়াসহ অনেকে—যারা তরুণদের ভূমিকা, সামাজিক দ্বন্দ্ব কমানো এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করতে কমিউনিটির করণীয় তুলে ধরেন। তারা বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি ধরে রাখতে প্রত্যেককে নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
এ ছাড়া সংলাপে আরও বক্তব্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম নুরুন্নবি, বাগেরহাট জেলা পুলিশের সাইবার টিমের পরিচালক মোঃ মারুফ আহমেদ, বিএনপি নেতা সৈয়দ নাছির আহমেদ মালেক, এনসিপি নেতা সৈয়দ মোর্শেদ আনোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা মোঃ মাহবুবুর রহমান, জামায়াত নেতা মোঃ শহিদুল ইসলাম, সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার বাগেরহাট ও রামপালের বিভিন্ন যুব গ্রুপের অর্ধশতাধিক যুব প্রতিনিধি অংশ নেন। তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা, স্থানীয় চ্যালেঞ্জ এবং সম্প্রীতি রক্ষায় করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, সম্প্রীতির চর্চা কেবল সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনযাপনের মধ্যেও লালন করতে হবে। সকলের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করা গেলে সমাজে বিভাজন কমবে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় থাকবে।
সংলাপের শেষ পর্যায়ে প্রদীপ বসু সন্তুকে আহ্বায়ক ও মাওলানা বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা আগামি নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।#sg