জনস্বার্থে ৩ মাসের জন্য সুন্দরবনে সকলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে
গোঁপনে মাছ শিকার ও চিংড়ী মাছ শুটকী করনের তথ্যের ভিত্তিতে বন
বিভাগের পরিচালিত অভিযানে দুটি ট্রলার আটক এবং ১৮ বস্তা শুঁটকি
চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। শুঁটকিগুলি পাচার করার ঠিক আগমুহূর্তে
রবিবার বিকেলে এ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের
পেয়ে ট্রলার ও শুটকী চিংড়ী ফেলে জেলেরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। ফলে
কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পুর্ব -সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের
সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দিপক চন্দ্র দাস জানান, একদল দুর্বৃত্ত
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরছিল, তারপর বনের কাঠ
ব্যবহার করে শুঁটকি প্রস্তুত করে পাচারের জন্য প্রস্তুত করছিল। এমন তথ্য
পেয়ে বন বিভাগের একটি টহলদল শনিবার থেকে অভিযানে নামে। একপর্যায়ে সুন্দরবনের বড় ডাবুর খাল এলাকায় সন্ধ্যার দিকে দুটি ট্রলার
দেখতে পেয়ে সেখানে হানা দেয় বনরক্ষীরা। অভিযানে জেলেরা পালিয়ে
গেলেও ট্রলার দুটি ও শুঁটকি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ ফেলে যেতে বাধ্য
হয়। জব্দ করা হয় ১৮ বস্তা শুঁটকি চিংড়ি, ট্রলার ও সরঞ্জাম। বন আইনে
এসব মালামাল নষ্ট করে ফেলা হয়েছে এবং শুঁটকি গুলি আদালতের
নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে। অভিযানে থাকা ট্রলার দুটিতে অন্তত ১০-
১২ জন জেলে ছিল। পালিয়ে যাওয়ার ফলে তাদের আটক করা যায়নি, তবে
তদন্ত চলছে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। ধারণা করা
হচ্ছে, এই চক্র ৬ জুলাই রাতেও পাথরঘাটা হয়ে লিটন গাজীর ট্রলারে ৩০
বস্তা শুঁটকি পাচার করেছে। প্রসঙ্গতঃ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন
বিভাগ সূত্রে আরো জানা গেছে, মোংলা ও দাকোপের কিছু চিহ্নিত
ব্যক্তি, যেমন মোশারেফ হোসেন, ওলি সুমন, লিটন গাজী, বেলায়েত
হোসেন, পল্টু জমাদ্দার, মিজান ও জমির উদ্দিনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র
দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাÐে জড়িত। বিষ প্রয়োগে
মাছ শিকার, হরিণ নিধন, নিষিদ্ধ সময়ে কাঁকড়া ধরা এবং পশু পাচার
তাদের নিয়মিত কার্যকলাপের অংশ।#