মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:

৫০০ একর ফসলি জমি অথৈ-জলে-ভাসছে।উত্তাল

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:- / ৮৪ বার
আপডেট সময় : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫


যশোরের শার্শা উপজেলায় টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে রুদ্রপুরের ইছামতী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে ঠেঙ্গামারী ও আওয়ালী বিল। ফলে বিল দু-টিতে থাকা প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি পানির নিচে চলে গেছে। এনিয়ে জমি মালিকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

জমি মালিক ও কৃষকরা জানিয়েছেন, উপজেলার রুদ্রপুর, গোগা, শার্শা, বাহাদুরপুর, পুটখালী, বাগআঁচড়া, নাভারণ ও সামান্য অংশে শ্যামলাগাছি, বেনাপোলসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ জমিতে এখনও পানি জমে আছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ইছামতী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এই জমিগুলো ডুবে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, ইছামতী নদীর মুখে সঠিকভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা না থাকায় এবং নদীটি সঠিকভাবে খনন না হওয়ায় পানি দ্রুত নিষ্কাশন হয় না। ফলে ঠেঙ্গামারী ও আওয়ালী বিল এলাকার জমিতে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকে। এতে করে এসব জমিতে একটি মাত্র ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

রুদ্রপুরের কৃষক হোসেন আলী জানান, প্রতি বছর বর্ষার সময় আমাদের এই এলাকার জমিতে পানি জমে যায়। কিন্তু সঠিক ড্রেনেজ ও নদী খননের অভাবে সমস্যা থেকে যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তারা সরকারি সহায়তা ও নদী খননের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, চলতি বছরে ভারী বর্ষণে এই দুটি বিলে ৫ হেক্টরের মতো আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হেক্টরের মতো আমন ধান ও ২০ হেক্টরের মতো পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিলের পানি জমায় ঠেঙ্গামারী বিলে ৫০০ একরের মতো জমিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমেই এই দুটি বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
এক ক্লিকে বিভাগের খবর