শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৫০৫ নম্বর কক্ষে কবি ও কথা
সাহিত্যিক তালুকদার লাভলীর কাব্যগ্রন্থ ‘আমার বিষন্ন
শব্দাবলি’র পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠান
আয়োজন করছে পেন বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি দিয়েছেন প্রবাসী
কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব
ও কবি নোমত উল্যা ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। উদ্বোধন করবেন
অর্থনীতিবিদ ও গণনীতি বিশ্লেষক ড. দেবপ্রিয়
ভট্টাচার্য। প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করবেন প্রথিতযশা কথাশিল্পী
হরিশংকর জলদাস, পেন বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট
কবি শামীম রেজা এবং গবেষক ও অনুবাদক কবি ড.
গৌরাঙ্গ মোহান্ত। সভাপতিত্ব করবেন জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট কবি তালুকদার লাভলী। যিনি তার
আবেগঘন ও হৃদয়স্পর্শী কবিতার জন্য পরিচিত। তিনি
একজন আধুনিক কবি ও সাহিত্যিক হিসেবে
বাংলাসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রেখেছেন। তার রচনাগুলো
প্রায়ই ভালোবাসা, প্রকৃতি, সামাজিক ন্যায়বিচার
এবং মানবজীবনের নানা দিক নিয়ে আবর্তিত হয়।
যেখানে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মর্ম ও সমকালীন জীবনের
সংগ্রামগুলোকে জীবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
লাভলীর কবিতায় এক গভীর সংবেদনশীলতা ও চিত্রকল্পের অনন্য
সমন্বয় দেখা যায়। যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম পাঠকদের মনে
অনুরণিত হয়। তিনি বেশ কয়েকটি প্রশংসিত কাব্যগ্রন্থ
প্রকাশ করেছেন এবং বাংলা সাহিত্যে তার অসামান্য
অবদানের জন্য ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার
কাব্যকণ্ঠ যার বৈশিষ্ট্য লিরিকাল সৌন্দর্য ও গভীর অন্তর্দৃষ্টি।
আজও বাংলাদেশের সাহিত্য জগৎকে অনুপ্রাণিত ও সমৃদ্ধ
করে চলেছে। লেখালেখির ঝোঁক শুরু হয়েছিল খুব অল্প
বয়সেই। সাম্প্রতিক সময়ে তার বহু গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। তার সঙ্গে
কথা বললে স্পষ্ট হয়ে যায় লেখালেখির প্রতি তার দৃঢ় বিশ্বাস ও
এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কতটা গভীর। তিনি
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, আমি কলম হাতে নিয়েছি
সমাজের মুখোশপরা মুনাফালোভী শোষকদের মুখোশ
উন্মোচন করতে। তাদের অমানবিকতা প্রকাশ করতে,
মানুষকে শিক্ষিত করতে এবং নিরীহ ভুক্তভোগীদের এমন
প্রতারণা থেকে মুক্তি দিতে। এ সময়ের মধ্যে তিনি
পরিচিত মহলে এক ‘অঙ্গীকারবদ্ধ লেখক’ হিসেবে সুনাম
অর্জন করেছেন। যিনি শুধু সামাজিক সচেতনতার জন্যই
নয় মানবিক দানশীলতার কারণেও শ্রদ্ধেয়। কারণ তার লেখালেখি
থেকে প্রাপ্ত সব উপার্জন তিনি দান করেন অসহায় ও দরিদ্র
মানুষের সহায়তায়।
তালুকদার লাভলীর সাহিত্যকর্মের মধ্যে বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য তার লেখা উপন্যাস ‘পেট্রোদাসী’। যা
মধ্যপ্রাচ্যে কর্মজীবীদের জীবন ও সংগ্রামকে ভিত্তি করে
রচিত। এছাড়া তার পরিচিত কবিতা ‘হে মহাশিশু’
সাহিত্য অঙ্গনে তার স্বতন্ত্র অবদানকে প্রকাশ করে।