বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:

মহাসড়কের পাশে সবজির হাট,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলে বেচাকেনা,অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ।

মাসুম হাওলাদার : / ২৮ বার
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

বাগগেরহাটে মহাসড়কের পাশে সবজির হাট, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলে বেচাকেনা,অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ।


বাগেরহাট সদর উপজেলার খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সিএন্ডবি বাজার সপ্তাহে দুদিন (শুক্র ও সোমবার) বসে সবজির হাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানেই সবজি বেচাকেনা করেন। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মহাসড়কে চলাচলরত দ্রুতগতির যানবাহন, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। এছাড়াও হাটে নেই চান্দিনা ও শৌচাগার।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত সবজি ভ্যান, নসিমন ও অটোরিকশা যোগে বিক্রির করার জন্য এ হাটে নিয়ে আসেন কৃষকরা। এ সময় তারা মহাসড়কের দুপাশে সবজি রেখে বেচাকেনা করেন। দোকান গুলোর দুপাশ দিয়েই চলাচল করছে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। কেউ কেউ মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে বস্তায় সবজি ভরছেন। ক্রেতারাও ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে সবজি কিনছেন। অন্যদিকে সবজি পরিবহনের জন্য থামিয়ে রাখা যানবাহনের জন্য দেখা দিয়েছে যানজট। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন সবজি ব্যবসায়ীদের জন্য নির্ধারিত কোনো স্থান না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে সড়কের পাশে বসে সবজি বিক্রি করছেন।
কৃষকরা জানান, আমরা শতকরা ৬ টাকা করে খাজনা দিয়ে আসি ও মহাসড়কের ওপর জীবনের ঝুকি নিয়ে আমাদের বেচাকেনা করতে হয় তাছাড়া শৌচাগার নাই। চান্দিনা না থাকায় বৃষ্টি হলে আমাদের সমস্যায় মধ্যে পরতে হয়। সরকার আমাদের কাছ থেকে খাজনা নেয় কিন্তু আমরা কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিনা।
সিএন্ডবি বাজারের ইজারাদার মোঃ মাসুমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমিতো হাট বসাইনি যুগ যুগ ধরে এভাবেই হাট বসে আসছে তাছাড়া ভিতরে যায়গা নাই। অতিরিক্ত খাজনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী শতকরা ৫টাকা করে খাজনা আদায় করি।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোতাহার হোসেন জানান, সিএন্ডবি বাজারে কৃষকদের উৎপাদিত সবজি তারা উত্তোলন করে রাস্তার দুপাশে রাখে। আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখেছি এখানে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫টি ট্রাক সবজি লোড করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। যেহেতু হাটটি ব্যস্ততম মহসড়কের পাশে ট্রাকগুলি যখন লোড-আনলোড হয় তখন যানযটের সৃষ্টি হয়। আমরা চেষ্টা করছি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও স্থানিয় কৃষকদের নিয়ে একটা মার্কেট তৈরি করা যায় কিনা। তাহলে কৃষকদের ভোগান্তি কমবে ও ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে সহায়তা হবে।
হাটের সমস্যার বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতামনা। আপনাদের মাধ্যমে অবগত হলাম। আমি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে ব্যবস্খা নেব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন ও কৃষকদের প্রাপ্য মূল্য নিশ্চিত করা গেলে বাগেরহাটের এসব নিরাপদ সবজি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১
এক ক্লিকে বিভাগের খবর