বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার,অবস্থান কর্মসূচি বহাল
জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার, অবস্থান কর্মসূচি বহাল
বাগেরহাটে সংসদীয় আসন পুনরবহাল ও সীমানা সংশোধনের দাবিতে ঘোষিত আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবারের অর্ধদিবস হরতাল জনস্বার্থে প্রত্যাহার করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও সাবেক বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম।
তিনি জানান, সামনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে বেলা ৩টায় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ এক বৈঠকে বসে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তবে হরতাল প্রত্যাহার করা হলেও মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী, মাওলানা রেজাউল করিম, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সোমবার সকাল থেকে জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি শুরু হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় ভ্যান-রিকশা-ইজিবাইককে হরতালের বাইরে রাখা হয়। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরি সেবার যান চলাচলেও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। তবে সরকারি অফিস-আদালতে আন্দোলনকারীরা কঠোর নজরদারি চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জামায়াত নেতা মনজুরুল হক রাহাত জানান, জনগণের ভোগান্তি এড়াতে জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগের গাড়ি, পরীক্ষার্থীদের যানবাহনসহ রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল হরতালের বাইরে থাকবে। তবে মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করবে না।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি খসড়া প্রস্তাবে বাগেরহাটের চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার সুপারিশ করে। এর বিরোধিতা করে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো ইসির শুনানিতে অংশ নিলেও কমিশন তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে। গত ৪
সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চূড়ান্ত গেজেটে একটি আসন কমিয়ে তিনটি রাখা হয় এবং নতুনভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।##













