হত্যা মামলায় নারীসহ দুই জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলের মাসুম ফকির (৩৫) হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও একজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন। জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. এস এম আব্দুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।”
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লোহাগড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মোতালেব সরদারের মেয়ে আশা বেগম (২৯), আশার পরকীয়া প্রেমিক সদর উপজেলার খলিশাখালি (নাকশী) গ্রামের ওসমান শেখের ছেলে আরাফাত শেখ(৩১) ও তার বন্ধু বুড়িখালি উত্তর পাড়া গ্রামের এনায়েত ভূঁইয়ার ছেলে রোমান ভূঁইয়া। ”
পিপি জানান আরাফাত শেখ ও আশা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অপর আসামি রোমান ভূঁইয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ প্রদান করেন বিচারক। অপর আসামি মোছাঃ শাবানা খাতুনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রোমান ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে ২০১৬ সালে আশা বেগমের বিয়ে হয় নড়াইল সদরের নাকশী গ্রামে। এক পর্যায়ে ভাসুরের ছেলে আরাফাতের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আরাফাতের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার পাশাপাশি আশা বেগম প্রতিবেশী মাসুম ফকিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। স্বামীর সংসারে থেকেই আশা একসঙ্গে দু’টি সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকেলে মাসুম ফকির বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি। ঘটনার পাঁচ দিন পর ১৩ ডিসেম্বর লোহাগড়া উপজেলার নলদী জালালসী গ্রামের তপন বিশ্বাসের বাড়ির পাশে নবগঙ্গা নদীর চর থেকে পুলিশ একটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি মাসুম ফকিরের বলে শনাক্ত করে।
এই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শহিদুল ফকির বাদী হয়ে নিহতের প্রেমিকা আশা বেগমকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে ১৫ ডিসেম্বর নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মামলার নয় বছর পর আদালত রায় ঘোষণা করলেন।#smk












