সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:

১১ মরদেহ উদ্ধার,থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে রোহিঙ্গাদের নৌকাডুবি

উত্তাল ডেস্ক: / ৩১ বার
আপডেট সময় : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

আন্দামান সাগরে থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ার সীমান্তে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাত্রা শুরু করা একটি নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুই দেশের কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বহু রোহিঙ্গা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ল্যাংকাউই দ্বীপের পুলিশ প্রধান খাইরুল আজহার নুরুদ্দিন বলেন, দুই সপ্তাহ আগে প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ার দিকে একটি জাহাজে উঠেছিল, বৃহস্পতিবার তাদের দুটি দলে ভাগ করে দুটি নৌকায় পাঠানো হয়েছিল, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ল্যাংকাউইয়ের কাছে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে অন্তত ৭০ জন যাত্রী ছিল বলে ধারণা করছে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ২৩০ জন যাত্রী নিয়ে অন্য নৌকাটির বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া ১১ মরদেহের মধ্যে দুই নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে থাইল্যান্ড, বাকি ৭টি মরদেহ এবং ১৩ জন জীবিত রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছেন মালয়েশিয়ার উদ্ধারকর্মীরা।,থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতুন প্রদেশের গভর্নর সাক্রা কপিলাকার্ন রয়টার্সকে বলেন, ‘থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী এবং মেরিন পুলিশ অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছে।,জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের শুরুর দিকে ৫ হাজার ১০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা নৌকায় করে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৬০০ জনের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।”

রাখাইন-ভিত্তিক সমুদ্রযাত্রাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘আরাকান প্রজেক্টে’র পরিচালক ক্রিস লেওয়া বলেন, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একাধিক নৌকা বাংলাদেশের কক্সবাজার ছেড়ে যায়, যেখান থেকে মালয়েশিয়ার জলসীমায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সময় লাগে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যার মুখে কয়েক লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তদের অনেকই উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল সমুদ্র ভ্রমণ করে নৌকায় করে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে।’

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিঙ্গারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য তাদের একেকজনকে ৩ লাখ ৫২ হাজার থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা (৩২০০ থেকে ৩৫০০ ডলার) গুনতে হয়। তবে প্রায় সময় নৌকাগুলো বেশ দুর্বল হয়ে থাকে, ফলে সহজেই ডুবে যায় এবং প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।
সূত্র: রয়টার্স,smk


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
এক ক্লিকে বিভাগের খবর